এ উপজেলার অধিকাংশ মানুষের পেশা কৃষি । বর্ষা মৌসুমে এদের অনেকেই মৎস্য শিকারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। কৃষির পরেই এ অঞ্চলের মানুষের প্রধান পেশা মাছ ধরা । লাখাই উপজেলার বিপুল সংখ্যক মানুষ ঢাকা, সিলেট, চট্রগ্রাম সহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হোটেল ব্যবসা ও শ্রমিকের কাজ করেন। ঢাকা শহরের অধিকাংশ হোটেলে লাখাই উপজেলার শ্রমিকেরা কাজ করে । ঢাকায় অনেক হোটেলও আছে । কেউ কেউ বেল্ট বানিয়ায়ে ঢাকায় বিক্রি করে । বিভিন্ন জেলায় মাটি কাটার জন্যও অনেকে চলে যায় । ঢাকায় কেউ কেউ পুরাতন জিনিষ পত্র, লোহা লক্কর ফেরী করে বেড়ান । এ পেশাকে এ অঞ্চলে বলা হয় ভাংগাড়ির ব্যবসা । বিদেশে বিশেষত গ্রিস, ইতালি, ফ্রান্স, মধ্যপ্রাচ্য, ইংল্যান্ড এসব দেশেও অনেকে কাজ করেন । গ্রিসে বেশী সংখ্যক মানুষ থাকার কারণে এ উপজেলার একটি গ্রামকে গ্রিস গ্রামও বলা হয় । সরকারী চাকুরীজীবির সংখ্যা খুব কম যার অধিকাংশই সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত । লাখাই উপজেলার ছোট বড় কোন ধরনের শিল্প কারখানা নেই। ক্ষুদ্র পর্যায়ের বেকারী সমূহে বানানো হয় বাকরখানি(পুরাতন ঢাকার একটি জনপ্রিয় খাবার)।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস