অমৃত মন্দির আশ্রমগত শতকের শুরুর দিকে(১৯০৭-১৯০৮খ্রিঃ) ভারত বর্ষে যখন স্বদেশী আন্দোলন এবং পৃথিবীব্যাপী প্রথম বিশ্বযুদ্ধের তোড়জোর চলছিল তখন ‘‘জীবকে নিরবচ্ছিন্ন আনন্দদান, পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন, সমগ্র জগতে এক মহাভ্রাতৃরাজ্যের প্রতিষ্ঠা’’ এই সংকল্প নিয়ে আসামের শিলচর শহর থেকে ৩ মাইল দূরে অরুনাচল আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব। ঠাকুর দয়ানন্দের জন্মস্থান ছিল এ উপজেলার বামৈ ইউনিয়নের বামৈ গ্রামে। তাঁর প্রকৃত নাম ছিল গুরুদাশ চৌধুরী। তিনি ১৯১৮ খ্রিঃ সনের ২০শে ফেব্রুয়ারী তারিখে বামৈ ইউনিয়নের কাটিহারা গ্রামে অমৃত মন্দির আশ্রমটি প্রতিষ্ঠা করেন। কাটিহারা মৌজার প্রায় ৪.০০ একর জমি জুড়ে শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দের আশ্রমটি উপজেলা সদর থেকে ২কিঃমিঃ দূরে অবস্থিত। এটি দেবোত্তর সম্পত্তি। প্রতি বছর শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দের জন্ম তিথি ও তিরোধান দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের শত শত লোকের সমাগম ঘটে। শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দর জন্ম ৭ ই জ্যৈষ্ঠ ১২৮৮ বাংলা(১৮৮১খ্রিঃ)। প্রথম মহাযুদ্ধের পরে ১৯১৮ সনের ১৮ই ডিসেম্বর প্যারিসে একটি শান্তি সম্মেলন হয়েছিল, যা প্যারিস পিস কনফারেন্স ১৯১৮ নামে পরিচিত। সেই সম্মেলনের পূর্বে ১৭ ই ডিসেম্বর শ্রী শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব নিজেকে‘‘বিশ্ব সুহৃদ ও সন্নাসী’’ এই পরিচয় দিয়ে পিস কনফারেন্সের সভ্যদের কাছে একটি মহামিলনী (World Union of Free People) ও এক যৌথ ভান্ডারের (World Commonwealth) পরিকল্পনা পাঠিছিলেন। উক্ত দিবসকে স্মরণ করে এই আশ্রমে প্রতি বৎসর উৎসব অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে বিপুল লোকের সমাগম ঘটে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস