উপজেলার প্রখ্যাত ব্যক্তিত্ব পূন্যভূমি সিলেটের অংশ হিসেবে লাখাই উপজেলায় অনেক আওলিয়া ও মনীষী যুগ যুগ ধরে আগমন করেছেন। অনেক মহান মনীষি এ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। হযরত শাহজালাল এর সমসাময়িক ৩৬০ আওলিয়াদের একজন হযরত বায়েজীদ শাহ প্রায় ৭০০ বছর আগে বুল্লায় আশ্রয় নিয়েছিলেন এবং ধর্মপ্রচার করেছিলেন। তার নামে বুল্লা বাজারে একটি মাজার আছে। উপমহাদেশের প্রবাদ প্রতিম সুরকার ও গায়ক কুমার শচীনদেব বর্মনের কন্ঠে গীত ‘নিশিথে যাইও ফুল বনে’ এ জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হিসেবে পরিচিত শেখ ভানুশাহের মাজার আছে বামৈ ইউনিয়নের ভাদিকারা গ্রামে। ১৯৩৩ সালে ‘‘ বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির’ উদ্যেগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য সম্মেলনে বাংলাদেশের মরমী কবিদের মধ্যে চারজনকে দার্শনিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, চারজন হলেন লালন শাহ, শেখ ভানু শাহ, শেখ মদন শাহ ও হাসন রাজা। গত শতকের শুরুর দিকে ১৯০৭-১৯০৮ সালে জীবকে নিরবচ্ছিন্ন আনন্দদান, পৃথিবীতে শান্তি স্থাপন, সমগ্র জগতে এক মহাভাতৃরাজ্যের প্রতিষ্ঠা আসামে শ্রী ঠাকুর দয়ানন্দ দেব অরুনাচল আশ্রমের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তাঁর জন্মস্থান এ উপজেলার বামৈ গ্রামে। ১৯১৮ সনে তিনি বামৈ ইউনিয়নের কাটিহারা গ্রামে অমৃত মন্দির আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। শ্রী দয়ানন্দ ঠাকুর প্যারিস পিস কনফারেন্স ১৯১৮ এর পূর্বে World Union of Free People এবং World Commonwealth এর পরিকল্পনা করেছিলেন। কলকাতার পুলিশ কমিশনার ছিলেন শ্রী চন্দ্রশেখর, তাঁর বাড়ী এ উপজেলার ভাদিকারা গ্রামে। নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি ভারতের ক্যাবিনেট সচিব ছিলেন তার বাড়ীও এ উপজেলার ভাদিকারা গ্রামে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপ্রতি তারা কিশোর চৌধুরীরূ বাড়ী এ উপজেলায়। তৎকালীন এমএনএ ১৯৭৩ সালের সংসদ সদস্য(এমপি) ১৯৭৪ সালের গভর্নর জনাব মোস্তফা আলীর বাড়ী মুড়িয়াউক গ্রামে। এ উপজেলায় প্রথম এমবিবিএস ডাক্তারের নাম ডাঃ জামিল আহমেদ, তার বাড়ী ভাদিকারা গ্রামে। এছাড়া আরো অনেক মনীষী ও বিখ্যাত ব্যক্তি এ উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেছেন। বিসিএস(প্রশাসন) ক্যাডারে ৪-৫ জন কর্মকর্তা বর্তমানে কর্মরত আছেন । এছাড়া সামরিক বাহিনীতে কয়েকজন উর্ধ্বতন কর্মকর্তা রয়েছেন যাদের জন্মস্থান এ উপজেলায় ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস