শেখ ভানু শাহের মাজারঃউপমহাদেশের প্রবাদ প্রতিম সুরকার ও কন্ঠশিল্পী শচীন দেব বর্মনের কন্ঠে গীত ‘নিশিথে যাইও ফুল বনে’ জনপ্রিয় গানটির গীতিকার হিসেবে ব্যাপক ভাবে পরিচিত শেখ ভানুশাহের মাজারটি লাখাই উপজেলা সদরে ১ কিঃমিঃ দূরে ভাদিকারা গ্রামে অবস্থিত। মাজারে কোন উল্লেখযোগ্য ভবন নেই। তবে প্রতি বৎসর পৌষ মাসের ১৪ তারিখে উক্ত মাজারে ওরশ শরীফ ও মেলা অনুষ্ঠিত হয় এবং তাতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মরমী সাধক সহ পর্যটকদের সমাবেশ ঘটে। মরমী সাধক শেখ ভানু সিলেটের লোক কবি ও মরমী সাধকদের মধ্যে অন্যতম। ১৯৩৩ সালে ‘‘ বঙ্গীয় মুসলিম সাহিত্য সমিতির’ উদ্যেগে কলকাতায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য সম্মেলনে বাংলাদেশের মরমী কবিদের মধ্যে চারজনকে দার্শনিক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল, চারজন হলেন লালন শাহ, শেখ ভানু শাহ, শেখ মদন শাহ ও হাসন রাজা। শেখ ভানু শাহের বিভিন্ন গান নিয়ে বাংলাদেশ টেলিভিশনে শিল্পী মোস্তফা জামান আববাসীর উপস্থাপনায় অনুষ্ঠান প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে শেখ ভানুশাহের ভাগ্নির পুত্র বাদশা মিয়া দরগা বাড়ীর খাদেশ এবং প্রপৌত্র মোঃ আব্দুল মোতালিব শেখ ভানু শাহের ঘরে বসবাস করেন।
শাহ বায়েজীদ শাহ’র মাজারঃলাখাই উপজেলা সদর থেকে ৪ কিঃমিঃ দুরে বুল্লা বাজারের পাশে অবস্থিত একটি মাজার। হযরত শাহজালাল এর সমসাময়িক ৩৬০ আওলিয়াদের একজন হযরত শাহ বায়েজীদ প্রায় ৭০০ বছর আগে বুল্লায় আশ্রয় নেন এবং ধর্মপ্রচার করেন। প্রতি বছর পৌষ মাসের ৯ তারিখে ওরশ শরীফ হয় এবং দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রচুর লোকের সমাগম ঘটে।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস