সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার লাখাই উপজেলার ৪নং বামৈ সদর ইউনিয়নের বামৈ গ্রামে উপজেলার মধ্যবর্তী স্থানে অবস্থিত৷ উক্ত প্রতিষ্ঠানটি উপজেলা সদর হইতে ১.৭৪কিলোমিটারে(রেডিয়াস) দূরে৷এইচএসসি, এসএসসি, জেএসসি ও প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষারকেন্দ্র৷ বিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ নির্মল৷ ছাত্র/ছাত্রী আগ্রহীও পরিশ্রমী এবং শিক্ষার ফলাফল সন্তোষজনক৷ এলাকার বিদ্যুত্সাহী ব্যক্তিগণের আর্থিক সহযোগীতার ফলে বিদ্যালয়টি গড়ে উঠেছে৷জমির পরিমাণ৩.৮০শতক৷ |
বামৈ একটি আদি সম্ভ্রান্ত গ্রাম৷এলাকার ঐতিহ্য ও ইতিহাস রক্ষার্থে হিন্দু মুসলিম শিক্ষিত লোকগণের সম্বনয়ে০১/০১/১৯৬১ সালে বামৈ এমি এস্কুল হিসেবে একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার সিদ্ধান্তনেন৷ এরই পরিপ্রেক্ষিতে বামৈ গ্রামের কয়েক জন হিন্দু জমিদার বিদ্যালয়ে জমিদান করেন৷ এলাকার হিন্দু মুসলিম মুরব্বী ও যুবকদের সম্বনয়ে আর্থিক সহযোগীতার মাধ্যমে প্রথমে একটি ঘর তৈরী করেন৷ উক্ত ঘরে প্রথমে আসাম বেঙ্গল প্রদেশে এমমিএ স্কুল হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাল গ্নেযারা অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেনঃ- রাজ কুমার চৌধুরী, ফণিভূষণ চৌধুরী, হরিপদ চৌধুরী, নলিনী কুমার চৌধুরী, দেবী পদ চৌধুরী সহ তত্কালীন ৪নংবামৈ ইউ/পি চেযারম্যান হরমুজ আলী বেপারী, সুলতান খান, সফি খান, সোয়াব খান লুদী, আলী আহম্মদ চৌধুরী, আব্দুল কবির চৌধুরী, মিয়া হোসেন, এনাম মিয়া চৌধুরী, রাজা মিয়া সরদার, ইদ্রিছ মেম্বার, গফুর সর্দার, নসা মিয়া সর্দার, আতাউর রহমান পঞ্চায়েত, হাজী তারা মিয়া, হাজী আলা উদ্দিন সহ আর ও অনেকে৷ স্বাধীনতার পর বিদ্যালয়টি পূর্ণাঙ্গরূ পদান করার ক্ষেত্রে অবদান রাখেন তত্কালীন জাতীয় পরিষদ সদস্য জনাব এডভোকেট মোস্তফা আলী এমএনএ(গর্ভনর) লাখাই, হবিগঞ্জ নির্বাচনী এলাকা৷ জনাব এম মুখলেছুর রহমান চৌধুরী প্রেসসচিব ওরাষ্ট্রপতি উপদেষ্ঠা৷ স্থানীয় ভাবে বিদ্যালয়ের পৃষ্ঠপোষকতা করেন জনাব নুর মোহাম্মদ, নজরুল ইসলাম প্রাক্তন চেয়ারম্যান, মোস্তফা কামাল প্রাক্তন চেয়ারম্যান ৪নং বামৈ ইউ/পি৷ আব্দুস সামাদ চৌধুরী (ফরহাদ চৌধুরী) প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান, নিজাম উদ্দিন প্রাক্তন উপজেলা চেয়ারম্যান, জনাব রফিক আহমেদ চেয়ারম্যান উপজেলা পরিষদ লাখাই, এস আর তালুকদার উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান লাখাই, মাহফুজুল আলম মাহফুজ চেয়ারম্যান ৪নং বামৈ ইউনিয়ন পরিষদ ও সভাপতি ম্যানেজিং কমিটি বামৈ মডেল উচ্চবিদ্যালয়, আব্দুল করিম প্রাক্তন মেম্বার সহ আরও অনেক৷
অত্র বিদ্যালয়ে স্বাধীনতা লাভের আগে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন নলিনী ভূষণ চৌধুরী ১৯৬১-১৯৬৫ইংপর্যন্ত৷ এর পর প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন জ্যোতি লাল চৌধুরী ১৯৬৫-১৯৬৮ইংপর্যন্ত৷ ৩য় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন আবুল কাশেম১৯৬৯-১৯৭৪ ইং পর্যন্ত ৪র্থ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন অরবিন্দু দাস ১৯৭৫-১৯৭৭ ইং পর্যন্ত৷ ৫ম প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন হাফিজুল ইসলাম১৯৭৭-২০০৮ইং দীর্ঘদিন যাবত কর্মরত ছিলেন৷ ৬ষ্ঠ প্রধান শিক্ষক হিসাবে কর্মরত আছেন মোঃ মামুনুর রশিদ চৌধুরী, বামৈ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়৷ দীর্ঘ ঐসময়টাতে অবকাঠামোগত কোন উন্নয়ন হয়নি৷ ফলে এগ্রামে জজের বাড়ী, হাসপাতাল, দু’টিবিখ্যাত মন্দির নিম্্ন মাধ্যমিক স্কুলথাকাস্ব্বওে উন্নয়নের ধারাবাহিকতার ক্ষাহয়নি৷ কয়েক জন বিদগ্ধহিন্দু/ মুসলমান শিক্ষক মিলে বামৈ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টাকে চালিয়ে নিলেও বিশেষ কোন অগ্রগতি সাধন করতে পারেননি৷ তখনই গ্রাম বিলুপ্তহবার উপক্রম বামৈ স্কুলটির প্রতি আর্শীবাদ হয়ে আর্বিভাব ঘটে জনাব আবুল কাশেম ওরফে বাসুস্যারের৷ নিরলস পরিশ্রম আর বুদ্ধিমত্তার সংমিশ্রণে বিদ্যালয়টিতে তিলেতিলে গড়েতোলারব্রত পালনে তিনি এক জন সফল সাধক হিসেবে প্রতিপন্ন হয়েছেন৷ নিজের জমির ফসল বিক্রি করে তিনি অন্যশিক্ষকদের বেতন দেওয়ার মতোমহত্ কাজ করেছেন৷তিনি ছাত্রদের কেসংগেনিয়া (তত্কালীন ছাত্র মৃত মফিজুল মেম্বার, উমর ফারুক সর্দার, তকদির হোসেন, আব্দুর রহমান মেম্বার, হাজী জয়নাল আবেদীন, ইউসূফ আলী প্রাক্তন মেম্বার, বজলুর রহমান আর ও অনেকে) স্কুলের ভবনের স্বল্পতা মেটানোর জন্য গ্রামের পূর্বপার্শ্বে অবস্থিত বসন্ত চৌধুরীর বাড়ীর পরিত্যক্ত ঘরভেঙ্গে এনে স্কুল হিসাবেঘর বাঁধেন৷ ১৯৭৪ সালে সারাদেশে প্রবল বন্যা দেখা দিলেস্ কুলের একমাত্র ঘরটি দ্বীপের মধ্যে প্রদীপের মত জেগেথাকে ৷কিন্তুছাত্র/ ছাত্রীরা স্কুলে আসতেনা পারলেও বাসুস্যার প্রায় ইস্কুলে গিয়ে ঘর দরজা দেখে আসতেন৷ যাকিনাতার স্কুলের প্রতি অপার অকৃত্রিম ভালবাসাও স্কুলটিকে গড়েতোলার দায়িত্ববোধের বহিঃপ্রকাশ৷ ১৯৭৭ সাল হতে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব ভার গ্রহণ করেন হাফিজুল ইসলামতার প্রচেষ্ঠায় বিদ্যালয়টি একটি প্রথম পর্যায়ের বিদ্যালয় হিসাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে৷
২০১২শিক্ষা বর্ষে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ ম শ্রেণী (বাংলা ভার্সন) পর্যন্ত অধ্যয়ন রত শিক্ষার্থীদের প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক বিবরণ জেলার নামঃ হবিগঞ্জ উপজেলার নামঃ লাখাই ছক- ক
সর্ব মোট ছাত্র/ছাত্রী- ৯০৩জন (ছাত্র- ৩৩১জন, ছাত্রী- ৫৭২জন) ছক- খ
সর্বমোটমুসলিম- ৭৪৪জন, সর্বমোটহিন্দু-১৫৯জন | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
|
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি অনুমোদিত (মেয়াদকাল০১/০২/১২-৩১/০১/২০১৪) | স্মারকনং- সিশিবো/বিদ্যা/কমিটি/হবি-৭৬/১৬৭
তারিখ০১/০২/২০১২খ্রিঃ
|
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস